কবিতা-“মেয়েটির কবিতা বিহার”

“মেয়েটির কবিতা বিহার”
-সুমিতা পয়ড়্যা

 

 

মেয়েটি এখনো স্বপ্ন দেখে মনের ক্যানভাসে
মেয়েটি এখনো জীবনের ছবি আঁকে জলরঙে
মেয়েটি এখনো নতুন নতুন লেখা কবিতায় বাঁচে।

তুলে আনে দিগন্তপারের গোটা সূর্যটাকে
কখনো মিশিয়ে দেয় সবুজের সাথে নীলকে;
কুড়িয়ে আনে অঞ্চল জুড়ে বকুলের সৎগাঁথা।
মনের আবেগে খুনসুটির সংসারে হেলায় হারায়,
আবার কখনো আবেগঘন কালো মেঘের বিদ্যুতের ঝলকানিতে দৃঢ়তা স্থাপন করে;
এটা সেটা করে করে ক্লান্ত দেহ মন কাব্য রোগে আক্রান্ত হয়
আর তখন মুঠো মুঠো কবিতাদের ছুঁড়ে দেয় বাতাসে।

কোনোটা গিয়ে বসে গাছের মগডালে,
কোনোটা আকাশের তারাদের পাশে জায়গা খোঁজে,
কোনোটা বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে সাগর পাড়ে বিশ্রাম নেয়;
ধরণীর কোলে যেটা পড়ে থাকে তাকে হাতছানি দিয়ে পাঠকেরা ডাকে।
কত কথা, কত ছবি, কত স্বপ্ন, কত শব্দ!
সবাই একসাথে জীবনের কথা বলে; বেঁচে থাকার কথা বলে
আর বলে অনুভূতির কথা, উপলব্ধির কথা।

মেয়েটি কবিতা লিখতে লিখতে শেখে জীবনের মানে
হাঁটি হাঁটি পা পা করে একটু একটু চলতে চলতে এগিয়ে যায়,
অনুভূতির ঘরে অন্তরের- বাইরের মেলবন্ধনের সুখের- সম্ভোগের সান্নিধ্যের উপলব্ধি।
কবিতা লিখতে লিখতে মেয়েটি পৌঁছে যায় এক অনবদ্য বাস্তবের কঠিন সত্যে।
আর তখনই সহজে অনুধাবন করতে পারে সত্যের অচেনা গন্ধে আগুনের শীতলতা।

Loading

Leave A Comment